Friday, 31 July 2020

What is Internet ? Introduction to the Internet | ইন্টারনেট কি ? ইন্টারনেটের পরিচিতি

ইন্টারনেট কি ? ইন্টারনেটের পরিচিতি

বিশ্বের অফুরন্ত জ্ঞানভান্ডারকে কম্পিউটারের পর্দায় এনেছে ইন্টারনেট। ইন্টারকানেকটেড নেটওয়ার্কস শব্দ দুটিকেই সংক্ষিপ্ত আকারে একত্রিত করে ইন্টারনেট শব্দটি তৈরি করা হয়েছে বলে ভাবা যেতে পারে। অর্থাৎ, পরস্পর সংযুক্ত অনেকগুলি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা কার্যক্রমের সমন্বয়ই হলাে ইন্টারনেট। বস্তুত , হাজার হাজার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ইন্টারনেটে যুক্ত রয়েছে। বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের বিস্তার । এখন প্রধানত কম্পিউটারই এর মাধ্যম ।
what is internet ?

এবার দেখা যাক , কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে কি বােঝায়। ধরা যাক, অনেকগুলি কম্পিউটার পরস্পরের সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত যে , তারা নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান - প্রদান করতে পারে। এই কম্পিউটারগুলির যােগসূত্রকেই বলে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক । এরকম অনেকগুলি নেটওয়ার্ককে আবার পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে তথ্য - প্রযুক্তি আমাদের সামনে উপস্থিত করেছে ইন্টারনেটকে। স্পষ্টতই , কোনও একটি মাত্র নেটওয়ার্ক দিয়ে ইন্টারনেট তৈরি হয়নি। ইন্টারনেটকেও যদি একটি নেটওয়ার্ক বলে ভাবা হয়, তাহলে তা আসলে অনেকগুলি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমন্বিত রূপ। বিষয়টি সহজে বােঝার জন্য আমরা এভাবে ভাবতে পারি যে , অনেকগুলি পূর্ণ সংখ্যা যােগ করলে যেমন একটি পূর্ণ সংখ্যা পাওয়া যায়, তেমনি অনেকগুলি কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে যুক্ত করেই ইন্টারনেটের উৎপত্তি। তাই বিশ্বে বৃহত্তম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলাে ইন্টারনেট । 
এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলাে , এটি কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা বা দেশের মালিকানাধীন নয় । আর এই নেটওয়ার্কের গ্রাহকের অনেক সময় জানাই থাকে না , যে তথ্য তিনি আহরণ করছেন , সেই ‘ দাতা কম্পিউটার পৃথিবীর কোথায় অবস্থিত এবং কোন্ পথ ধরে ঘুরে এই তথ্য আসছে ।

Sunday, 5 July 2020

What is File & Folder in Computer ? | কম্পিউটারে ফাইল এবং ফোল্ডার কী ?

What is File & Folder in Computer ? | কম্পিউটারে ফাইল এবং ফোল্ডার কী ?

ফাইল- একটি কম্পিউটার ফাইল হলো একটি তথ্য যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম এর নিকট গ্রহণযোগ্য।
যেমন: অডিও, ভিডিও, ছবি
ফাইলের নাম এর শেষে এর ফরম্যাট টাইপ লেখা থেকে। একে ফাইল এক্সটেনশন বলে।
যেমনঃ DC001.jpg বা new.txt
উপরের উদাহরণ দুটিতে যথাক্রমে প্রথমটি ছবির এক্সটেনশন [ .jpg] এবং দ্বিতীয়টি টেক্সট ফাইলের এক্সটেনশন [ .txt]

ফোল্ডার- কম্পিউটার ফাইল সমূহ যে কন্টেইনারে সংরক্ষণ করা হয় তাকে ফোল্ডার বলে। যেমন আমরা ব্যাগ এ বই খাতা রাখি। এই ক্ষেত্রে বই খাতা হলো ফাইল এবং ব্যাগ হলো ফোল্ডার।
ফোল্ডারে কোনো এক্সটেনশন থাকে না।
ফোল্ডারের মাধ্যমে ফাইল গুলো সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা যায়। যেমন স্কুল নাম এর একটা ফোল্ডার করে স্কুলের সকল ফাইল ওই ফোল্ডারে রাখলে। তাহলে সব ফাইল এলোমেলো থাকলো না। একটা জায়গায় তুমি তোমার প্রয়োজনীয় ফাইল পাচ্ছ।


What is File & Folder in Computer
File & Folder in Computer
ফাইল এবং ফোল্ডারের ব্যবহার : আমরা কম্পিউটারে যা সংরক্ষণ করি তা থাকে একটি ফাইলের মধ্যে । রঙ ও রেখা সম্বলিত ছবিই হােক , টাইপ করা অক্ষরই হােক , স্ক্যানড ( scarned ) ফটোই হােক , সি ডি ( CD ) থেকে কপি ( copy ) করা চলচ্চিত্রই হােক সবই কম্পিউটারে ফাইল হিসাবে সংরক্ষিত থাকে । আমরা প্রত্যেক ফাইলের একটি করে নাম দিই , যাকে বলে ফাইল নেম ( File name ) । এই ফাইল নেম ছাড়া কোনাে ফাইল কম্পিউটারে সংরক্ষিত ( stored ) হয় না । প্রায়শই , যতক্ষণ না আমরা কোনাে নাম দিচ্ছি । কম্পিউটার নিজেই ফাইলের একটি নাম দিয়ে দেয় , যেমন আনটাইটল ( untitled ) । ফাইলের বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে , এক একটি ফোল্ডার তৈরী করে তার মধ্যে একাধিক ফাইল রাখা থাকে । ফোল্ডারের নাম দিতে হয় । একটি ফোল্ডারে অনেকগুলি করে ফাইল থাকে । প্রয়ােজনে অন্য ফোল্ডারও একটি ফোল্ডারের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে । অন্তর্ভুক্ত ফোল্ডারটিকে বলে সাব ফোল্ডার ( Sub folder ) । একটি ফোল্ডারের অন্তর্গত প্রত্যেকটি ফোল্ডার এবং ফাইলের আলাদা আলাদা নাম দিতে হয় । ফোল্ডার তৈরী করা সহজসাধ্য । অফিসের একটি ফাইল যেমন একটি টেবিলের উপরে বা ভিতরে বা একটি তাকের উপর বা একটি ব্যাগের ভিতরে রাখা যায় , তেমনি ফোল্ডারও বিভিন্ন জায়গায় তৈরী করা যায় । ডেস্কটপে বা হার্ড ডিস্কের কোনাে ফোল্ডারের মধ্যেও ফোল্ডার তৈরী করা যায় ।

Saturday, 13 June 2020

What is software ? How many types ? | সফটওয়্যার কী ? কত প্রকার ?

What is software ( সফটওয়্যার কি ):


কম্পিউটার নিজের থেকে কোনও কাজ করতে পারে না। সে এক একটি নির্দিষ্ট কার্যক্রম অনুসরন করে কোনও কাজ সম্পন্ন করে এবং ফলাফল জানিয়ে দেয় । নির্দিষ্ট ক্রমে কী কী কাজ করতে হবে , তা কম্পিউটারকে জানাতে হয় তারই কোনও ভাষা ব্যবহার করে । এই নির্দেশাবলী বা কার্যক্রমকে আমরা কম্পিউটারের পরিভাষায় বলি 'প্রােগ্রাম' । প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা প্রােগ্রাম থাকে । বিভিন্ন প্রােগ্রামের সুনির্দিষ্ট সমন্বয়কেই সফটওয়্যার বলে । সফ্টওয়্যার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে । আজকাল ব্যবহারের সুবিধার জন্য কিছু কিছু সফ্টওয়্যার প্রস্তুতকারীরা লিখে দেন । যেমন , MS Paint, MS Word ।

  • কম্পিউটার সফটওয়্যার প্রধানত 3 প্রকার । যথাঃ
  1. সিস্টেম সফটওয়্যার 
  2. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার 
  3. ইউটিলিটি সফটওয়্যার

What is software


সিস্টেম সফটওয়্যার : কম্পিউটার ব্যবস্থা ও তার বিভিন্ন উপকরণকে অর্থাৎ ডিস্ক ড্রাইভ , সি পি ইউ , স্মৃতি বা মেমােরিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয় , তাকে সিস্টেম সফ্টওয়্যার বলে । যেমন , উইন্ডােজ 7 ( Windows 7 ) নামক অপারেটিং সিস্টেম ।পরিচালন ব্যবস্থা বা অপারেটিং সিস্টেম হলাে একটি বিশেষ সিস্টেম সফটওয়্যার । কম্পিউটারের সমস্ত উপকরণ ও কাজকর্মকে পরিচালনা করতে এটিকে ব্যবহার করা হয় । প্রচলিত অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে উইন্ডােজ , এম এস ডস , ইউনিক্স , লিনাক্স । অপারেটিং সিস্টেম আরও বহু কাজ করে থাকে । উদাহরণ হিসাবে বলা যায় , কোনও কাজ করার সময় কম্পিউটারের বিভিন্ন যান্ত্রিকব্যবস্থা যেমন স্মৃতি , প্রসেসর ইত্যাদির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে ।


অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার : কোনও নির্দিষ্ট কাজের জন্য অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারকে ব্যবহার করা হয় । প্রকৃতপক্ষে এই ধরনের সফ্টওয়্যার কোনও কম্পিউটারকে একটি কাজের যন্ত্রে পরিণত করে । যেমন , ছবি আঁকার কাজে এম এস পেইন্ট ( MS Paint ) , চিঠি বা নথি তৈরির কাজে এম এস ওয়ার্ড ( MS Word ) ইত্যাদি ।

ইউটিলিটি সফটওয়্যার : ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার হলো সিস্টেম সফটওয়্যারের অংশ। কিছু সাধারণ কাজ , যেমন প্রতিলিপি তৈরী বা কোনও তথ্য সংবলিত ফাইল মুছে ফেলার কাজ দ্রুত ও সহজে করে ফেলতে ব্যবহারকারীকে সাহায্য করে ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার। 

Thursday, 4 June 2020

Classification of computers | কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ

কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ ( Classification of computers ) : তথ্য বিন্যাসের পদ্ধতির ভিত্তিতে কম্পিউটারকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় । এগুলি হলাে , ( 1 ) অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer), (2 ) ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer), ( 3 ) হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer)। কম্পিউটারকে আবার তার আকার ও ক্ষমতার ভিত্তিতে চার ভাগে ভাগ করা যায় - (1 ) সুপার কম্পিউটার (Super computer), ( ২ ) মেইন ফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe computer), ( 3 ) মিনি কম্পিউটার (Mini computer), ( 4 ) মাইক্রো কম্পিউটার (Micro computer)।

Classification of computers
Classification of computers

  • তথ্য বিন্যাসের পদ্ধতির ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ

1 ) অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer): যে সকল কম্পিউটার একটি মাত্র ইনপুট ও আউটপুট নিয়ে কাজ করে সেই সকল কম্পিউটারকে অ্যানালগ কম্পিউটার বলে। এই কম্পিউটার এমন এক কম্পিউটার যা সমস্যার সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ, চাপ, তাপ ব্যবহার করে থাকে। যেমন- WATTMETER, SPEEDOMETER

2 ) ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer):  ডিজিটাল কম্পিউটার এমন এক কম্পিউটার যা কোনো তথ্য কে গাণিতিক ও যুক্তির মাধ্যমে গণনা করে থাকে। ডিজিটাল কম্পিউটার কেবল মাত্র '0' এবং '1' নম্বর এর সাহায্য সকল গণনা সম্পন্ন করে থাকে। যেমন- CALCULATOR, MOBILE, PC

3 ) হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer): হাইব্রিড কম্পিউটার হলো অ্যানালগ কম্পিউটার এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের মিশ্রিত রূপ। অর্থাৎ, এই কম্পিউটার অ্যানালগ তথ্য ইনপুট হিসাবে গ্রহণ করে এবং ডিজিটাল তথ্য আউটপুট হিসাবে প্রদান করে। যেমন- ECG MECHINE


  • আকার ও ক্ষমতার ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ

1) সুপার কম্পিউটার (Super computers) :  ব্যবহারের চাহিদা অনুযায়ী এই কম্পিউটারকে তৈরি করা হয়। অর্থাৎ, কোন কাজে কম্পিউটারটি ব্যবহার করা হবে সেই কাজের চাহিদা পূরণ করার জন্য উপযোগী কম্পিউটার। এই কম্পিউটার সবথেকে উচ্চগতিতে কাজ সম্পর্ন করতে সক্ষম। এই কম্পিউটার আকারে অনেক বড় হয় এবং অনেক কাজ এক সাথে করতে সক্ষম। এই কম্পিউটার WHEATHER FORCASTING, SPACE SHIP, SATTELITE LAUNCHING এর কাজে ব্যবহার করা হয়। এই কম্পিউটার উদাহরণ হলো 'PARAM-100' , 'CRAY-XMP-14'

2) মেইন ফ্রেম (Mainframe computer) : এই কম্পিউটার গুলি আকার অনেক বড় ও প্রচুর ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। এই কম্পিউটার গুলিতে অনেক ব্যবহারকরি একসাথে কাজ করতে পারে। এই কম্পিউটার AIR TICKET BOOKING, RAILWAY TICKET BOOKING এর কাজে ব্যবহার করা হয়।

3) মিনি কম্পিউটার(Mini computer) : এই কম্পিউটারের কার্য ক্ষমতা 
মেইন ফ্রেম কম্পিউটারের থেকে কম। এই কম্পিউটারে একাধিক ব্যবহারকরি এক সাথে কাজ করতে পারে। এই কম্পিউটার RESEARCH এর কাজে ব্যবহার করা হয়।

4) মাইক্রো কম্পিউটার(Micro computer) : সাধারণত বিভিন্ন অফিসে , স্কুল , কলেজে ও বাড়িতে আমরা যে কম্পিউটারগুলি দেখি , তাকে বলে মাইক্রো কম্পিউটার । এগুলি একটি প্রধান মাইক্রোপ্রসেসরের অধীনে সমস্ত কাজ করে থাকে । এই কম্পিউটারের উদাহরণ হলো LAPTOP,  DESKTOP

Thursday, 28 May 2020

Different parts of the computer | কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ

কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ
কতগুলি বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশকে একসাথে জুড়ে একটি কম্পিউটার তৈরি করা হয় । এই যন্ত্রাংশগুলিকে এমনভাবে যুক্ত করা হয় , যাতে সেগুলি একসঙ্গে মিলে কোনাে একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারে । নিচে কম্পিউটারের মৌলিক কাঠামােকে একটি ছবির সাহায্যে দেখানাে হয়েছে । কম্পিউটারের মাধ্যমে যে সব কাজ করা হয় , সেই সব কাজের ধরন অনুযায়ী এই কাঠামােকে মােটামুটিভাবে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা — 1) ইনপুট ডিভাইস , 2) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট এবং 3) আউটপুট ডিভাইস ।

Different parts of the computer
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ

ইনপুট ডিভাইস:
 ব্যবহারকারী কম্পিউটারের মধ্যে যে তথ্য প্রদান করতে চান , কম্পিউটার তা গ্রহণ করে । তারপর কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নির্দেশ মতাে ঐ তথ্যগুলিকে ব্যবহার করে তার করণীয় কাজ সম্পন্ন করে । যে সকল যন্ত্রাংশের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী কম্পিউটারে বহির্জগতথেকে তথ্য   প্রদান করতে পারেন , সেগুলিকে বলে ইনপুট ডিভাইস । যেমন , কি ( Key ) বাের্ড , মাউস , অপটিকাল ক্যারেকটার রিডার বা ও সি আর , ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেকটার রিডার বা এম আই সি আর ইত্যাদি ।

সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট:
কম্পিউটারের  মস্তিষ্ককে বলা হয় সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট ( CPU বা কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়ণ বিভাগ ) । এটিই মূল কম্পিউটার এর প্রধান অংশগুলি হলাে কন্ট্রোল ইউনিট বা নিয়ন্ত্রণ শাখা , এবং অ্যারিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিট বা গণিত ও যুক্তি সংক্রান্ত শাখা । এই CPU ছাড়াও কম্পিউটারে আরও বিভিন্ন অংশ একটি বিশেষ ভাবে প্রস্তুত বাক্সের মধ্যে রাখা থাকে তাকে বলা হয় ক্যাবিনেট । কি বাের্ড এবং মাউস এই ক্যাবিনেট - এর সঙ্গেই তারের মাধ্যমে যুক্ত থাকে । অর্থাৎ , কি বাের্ড বা মাউসের মাধ্যমে যে কাজ করা হয় , তার ফলাফল সি পি ইউ হয়ে কম্পিউটারের পর্দায় আমরা দেখতে পাই । আমরা জানি , কম্পিউটার চলে বিদ্যুতে । ক্যাবিনেট এর সঙ্গেই বিদ্যুৎ সংযােগ যুক্ত থাকে । সি পি ইউ - এ পাওয়ার ( Power ) নামক একটি সুইচ আছে , যেটি টিপে কম্পিউটার চালু করতে হয় ।

   আমরা এখন সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (cpu) এর বিভিন্ন অংশ নিয়ে আলােচনা করব । ( i ) নিয়ন্ত্রণ শাখা ( কন্ট্রোল ইউনিট বা CU) : কম্পিউটার ব্যবস্থায় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় তথ্যের যােগানকে বজায় রাখে নিয়ন্ত্রণ শাখা বা কন্ট্রোল ইউনিট । বস্তুত , কন্ট্রোল ইউনিট একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের ভূমিকা পালন করে । একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে তথ্যের আদান - প্রদানকে পরিচালনা করে কন্ট্রোল ইউনিট । ( ii ) অ্যারিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিট ( ALU ) : ALUকে কম্পিউটারের গণনা শাখা বলা যেতে পারে । অঙ্ক ও যুক্তি সংক্রান্ত কাজকর্ম করে এ এল ইউ । শুধু সমস্ত রকম গণনার কাজই নয় , সেগুলির তুলনাও করা হয় এ এল ইউ - এর মাধ্যমে । এর কাজের গতি মানুষের কল্পনার বাইরে । কিন্তু প্রসেসর যদি তার মেমোরি থেকে তথ্য না পায় , তাহলে তার পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় । যেহেতু প্রসেসরের গতি বেশি , তাই সে যদি  একই রকম উচ্চগতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিন মেমোরি থেকে তথ্য আহরণ করতে পারে , তাহলেই তার পক্ষে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব । কাজেই তাকে র‍্যামের থেকে তথ্য নিতে হয় । অপরপক্ষে র‍্যামেরও কয়েকটি অসুবিধা আছে । যদিও র‍্যামের পক্ষে উচ্চগতিতে তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব , তবে র‍্যামের সঞ্চিত তথ্য কম্পিউটার বন্ধ করলে মুছে যায় ।  তাছাড়া র‍্যামের তথ্য ধারণ ক্ষমতাও সীমিত । এক্ষেত্রে হার্ড ডিস্ক অনেক তথ্য চিরন্তন ভাবে ধরে রাখতে পারলেও একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা ছাড়িয়ে দ্রুতগতিতে তথ্য সরবরাহ করতে পারে না । প্রসেসর ও হার্ড ডিস্কের সমন্বয়ে কম্পিউটারে এমন একটি ব্যবস্থা করা হয়েছে , যাতে হার্ড ডিস্কে সঞ্চিত তথ্য প্রয়ােজন অনুযায়ী র‍্যামে সঞ্চিত হয় , আর প্রসেসর দরকার মতাে র‍্যামে থেকে তথ্য যোগাড় করতে পারে ।
(iii) প্রাথমিক সংরক্ষণ শাখা ( প্রাইমারি স্টোরেজ ইউনিট ) : কম্পিউটারে যে তথ্য প্রদানকরা হয় , তা জমা থাকে তার স্মৃতি বা মেমােরিতে । কম্পিউটারের স্মৃতিশক্তি বা স্মৃতির ভাণ্ডারে তথ্য ধারণের ক্ষমতা বিপুল । বস্তুত , কম্পিউটারের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে তার স্মৃতিশক্তি বাড়ানাের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে । কম্পিউটার তার স্মৃতিতে নানাবিধ তথ্য শুধু জমিয়েই রাখে না , ব্যবহারকারীর প্রয়ােজন অনুযায়ী তা যােগানও দেয় ।
কম্পিউটারের স্মৃতিকে দু'ভাগে ভাগ করা যায় । ( ১ ) মূল স্মৃতি বা প্রাথমিক পর্যায়ে সংরক্ষিত স্মৃতি ( মেইন মেমােরি বা প্রাইমারি স্টোরেজ ) এবং ( ২ ) অনুবর্তী পর্যায়ে সংরক্ষিত স্মৃতি (সেকেন্ডারি স্টোরেজ ) । মূল স্মৃতি আবার দু'রকমের । ( ক ) শুধুমাত্র পাঠযােগ্য স্মৃতি বা রিড অনলি মেমােরি ( Read Only Memory ) বা সংক্ষেপে রম ( ROM ) এবং ( খ ) অবাধ ব্যবহারযােগ্য স্মৃতি বা র‍্যানডম আক্সেস মেমােরি ( Random Access Memory ) বা সংক্ষেপে র‍্যাম ( RAM ) ।
অনুবর্তী পর্যায়ের স্মৃতি : কম্পিউটারের অনুবর্তী পর্যায়ের স্মৃতিতে স্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায় । অর্থাৎ , এটি তথ্য সংরক্ষণর স্থায়ী মাধ্যম । এক্ষেত্রে কম্পিউটার বন্ধ করে দেওয়া হলেও তথ্য নষ্ট হয় না বা হারিয়ে যায় না । ফলে ভবিষ্যতে প্রয়ােজন হলেই তথ্য ও প্রােগ্রামকে কম্পিউটারের সাহায্যে ব্যবহার করা যায় । তথ্যকে এভাবে সংরক্ষণের জন্য নানা ধরনের উপকরণ আছে , যেগুলিকে বলা হয় সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস । যেমন , ফ্লপি ডিস্ক , হার্ড ডিস্ক , কমপ্যাক্ট ডিস্ক বা সি ডি , ম্যাগনেটিক টেপ ইত্যাদি ।

আউটপুট ডিভাইস:
 ব্যবহারকারীর নির্দেশ মতাে কাজ করার পরে কম্পিউটার যখন তার ফলাফল জানায় , তখন যে যন্ত্রাংশগুলির মাধ্যমে ব্যবহারকারী তা জানতে পারেন , সেগুলিই আউটপুট ডিভাইস । যেমন , মনিটর , প্রিন্টার এবং প্লটার ।

Monday, 25 May 2020

Generation of Computer in Bengali | কম্পিউটারের প্রজন্ম

কম্পিউটারের প্রজন্ম (Generation of computer)

 কম্পিউটার সংক্রান্ত আলােচনায় 'প্রজন্ম' বলতে প্রযুক্তিগত ধাপকে বােঝায় । অর্থাৎ , কম্পিউটারের প্রজন্মের ধারাকে বিশ্লেষণ করা হলে কম্পিউটার নামক যন্ত্রের বিকাশের পর্যায়গুলিকে জানা যাবে । প্রকৃতপক্ষে , বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কম্পিউটারের বিকাশ ঘটে ।

Computer generation
Computer generation

প্রথম প্রজন্ম (First generation 1942 - 1955 ) : 1942 থেকে 1955 সালের মধ্যে যেসব কম্পিউটার তৈরি হয়েছে , সেগুলিকে বলা হয় প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার । ঐ সব কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামাের মূল বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ছিল ভ্যাকুয়াম টিউব । প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতীক হিসাবে এই সব কম্পিউটারের নানা সুবিধা থাকলেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এগুলির কিছু অসুবিধাও ছিল ।প্রথমত , এইসব কম্পিউটার ছিল আকারে বিরাট বড় । দ্বিতীয়ত , তাপ নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এগুলিকে ব্যবহার করা যেত না । তৃতীয়ত , প্রায়ই এসব ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ত ।  যেমন , ভ্যাকুয়াম টিউব প্রায়ই খারাপ বা নষ্ট হয়ে যেত । তখন তা বদলানাে ছাড়া উপায় থাকত না । পঞ্চমত , এগুলি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার উপযােগী ছিল না ।

দ্বিতীয় প্রজন্ম ( Second generation 1955 - 1964) : দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে স্বভাবতই আরও উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয় । উন্নততর প্রযুক্তির মাধ্যমে এই পর্যায়ের কম্পিউটারে মূল বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ হিসাবে ভ্যাকুয়াম টিউবের বদলে ট্রানজিস্টর লাগানাে হয় । এই কম্পিউটারগুলির বিভিন্ন যন্ত্রাংশও ছিল আকারে তুলনামূলকভাবে ছােট । এখন দেখা যাক , দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে কী কী সুবিধা ছিল । প্রথমত , এগুলি আকারে ছিল ছােট । দ্বিতীয়ত , চালু অবস্থায় এগুলি থেকে কম তাপ উৎপন্ন হতাে । তৃতীয়ত , এই কম্পিউটারগুলি তথ্য বিন্যাসের কাজ দ্রুত করতে পারত । চতুর্থত , এগুলি কম বিকল হতাে ।
তবে দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারেও বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করা গিয়েছিল । প্রথমত , এগুলি ব্যবহারের জন্য তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দরকার হত । দ্বিতীয়ত , এগুলি রক্ষণাবেক্ষণে অল্প সময়ের ব্যবধানে বারবার প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ নিতে হতাে । তৃতীয়ত , এগুলির বাণিজ্যিক উৎপাদন পদ্ধতি ছিল বেশ জটিল এবং ব্যয়বহুল ।

 তৃতীয় প্রজন্ম ( Third generation 1964 - 1972 ) : বিবর্তনের পথ ধরেই গবেষণার মধ্য দিয়ে আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়ােগ ঘটলাে তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে । দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটাৱে ব্যবহার করা হয়েছিল ট্রানজিস্টর । তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে তার জায়গা নিলাে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ( আই সি ) , যা সাধারণত সিলিকনের একটি মাত্র টুকরের উপরে তৈরি অতি ক্ষুদ্র স্থানে সীমাবদ্ধ বিদ্যুৎ সঞ্চালন চক্র । যে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আই সি - র এই ব্যবহার , তার নাম  লার্জ স্কেল ইন্টিগেশন ( এল এস আই ) টেকনােলজি । দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে অসুবিধার মাত্রা খুবই কমে আসে , সুবিধা বেড়ে যায় অনেকটাই । প্রথমত , তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলি ছিল আকারে ছােট । দ্বিতীয়ত , এগুলি ব্যবহারের সময় কম তাপ উৎপন্ন হতাে । তৃতীয়ত , এগুলি তথ্য বিন্যাসের কাজ দ্রুত করতে পারত । চতুর্থত , এগুলি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ ছিল কম । পঞ্চমত , এই কম্পিউটারগুলি ছিল বহনযােগ্য । অর্থাৎ , সহজেই এগুলিকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেত । যষ্ঠত , এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়ােজন হতাে । সপ্তমত , এগুলির বাণিজ্যিক উৎপাদন ছিল তুলনামূলকভাবে সহজ এবং এর খরচ ছিল কম।

 চতুর্থ প্রজন্ম ( Fourth generation 1972 - 1989) : তৃতীয় প্রজন্মের এল এস আই প্রযুক্তির জায়গায় চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহার করা হলাে ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন টেকনােলজি বা ভি এল এস আই প্রযুক্তি । এই প্রযুক্তির ভিত্তিতে কম্পিউটারে বসানাে হলাে মাইক্রোপ্রসেসর । স্বভাবতই এর ব্যবহারিক সুবিধা বেড়ে গেল অনেক গুণ । প্রথমত , এই কম্পিউটারের উৎপাদন ব্যয় অনেকটা কমে এলাে । দ্বিতীয়ত , এগুলি তথ্য বিন্যাসের ভূমিকা পালনের প্রশ্নে খুবই দ্রুতগতি সম্পন্ন । তৃতীয়ত , এগুলির স্মৃতিভাণ্ডার খুবই বড় । অর্থাৎ , এই কম্পিউটারগুলি তাদের স্মৃতি বা মেমােরিতে একসঙ্গে বিশাল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে বা ধরে রাখতে পারে । চতুর্থত , এগুলি আকারে বেশ ছােট । পঞ্চমত , এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎ লাগে ।

পঞ্চম প্রজন্ম (Fifth generation 1989 থেকে তার পরবর্তী সময়): চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহার করা ULSI (Ultra Large Scale Integration) এই প্রযুক্তির ভিত্তিতে কম্পিউটারে বসানাে হলাে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ। এই প্রজন্মের কম্পিউটারে প্যারালাল প্রসেসিং হার্ডওয়ার এবং AI(আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট) প্রথম ব্যবহার করা হয়। স্বভাবতই এর ব্যবহারিক সুবিধা বেড়ে গেল অনেক গুণ । প্রথমত , এই কম্পিউটারের উৎপাদন ব্যয় কমে এলাে । দ্বিতীয়ত , এগুলি তথ্য বিন্যাসের ভূমিকা পালনের প্রশ্নে খুবই দ্রুতগতি সম্পন্ন । তৃতীয়ত , এগুলির স্মৃতিভাণ্ডার খুবই বড় । অর্থাৎ , এই কম্পিউটারগুলি তাদের স্মৃতি বা মেমােরিতে একসঙ্গে বিশাল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে বা ধরে রাখতে পারে । চতুর্থত , এগুলি আকারে বেশ ছােট । পঞ্চমত , এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎ লাগে ।

Sunday, 26 April 2020

What is Computer ? কম্পিউটার কি?

What is Computer
Computer

কম্পিউটার হল এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত করতে পারে। তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে।


কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক "কম্পিউট"(compute) শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের  আক্ষরিক অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে। সভ্যতার বিকাশ এবং বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে গণিত ও কম্পিউটারের প্রবল প্রভাব।