Thursday, 28 May 2020

Different parts of the computer | কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ

কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ
কতগুলি বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশকে একসাথে জুড়ে একটি কম্পিউটার তৈরি করা হয় । এই যন্ত্রাংশগুলিকে এমনভাবে যুক্ত করা হয় , যাতে সেগুলি একসঙ্গে মিলে কোনাে একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারে । নিচে কম্পিউটারের মৌলিক কাঠামােকে একটি ছবির সাহায্যে দেখানাে হয়েছে । কম্পিউটারের মাধ্যমে যে সব কাজ করা হয় , সেই সব কাজের ধরন অনুযায়ী এই কাঠামােকে মােটামুটিভাবে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা — 1) ইনপুট ডিভাইস , 2) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট এবং 3) আউটপুট ডিভাইস ।

Different parts of the computer
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ

ইনপুট ডিভাইস:
 ব্যবহারকারী কম্পিউটারের মধ্যে যে তথ্য প্রদান করতে চান , কম্পিউটার তা গ্রহণ করে । তারপর কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নির্দেশ মতাে ঐ তথ্যগুলিকে ব্যবহার করে তার করণীয় কাজ সম্পন্ন করে । যে সকল যন্ত্রাংশের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী কম্পিউটারে বহির্জগতথেকে তথ্য   প্রদান করতে পারেন , সেগুলিকে বলে ইনপুট ডিভাইস । যেমন , কি ( Key ) বাের্ড , মাউস , অপটিকাল ক্যারেকটার রিডার বা ও সি আর , ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেকটার রিডার বা এম আই সি আর ইত্যাদি ।

সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট:
কম্পিউটারের  মস্তিষ্ককে বলা হয় সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট ( CPU বা কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়ণ বিভাগ ) । এটিই মূল কম্পিউটার এর প্রধান অংশগুলি হলাে কন্ট্রোল ইউনিট বা নিয়ন্ত্রণ শাখা , এবং অ্যারিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিট বা গণিত ও যুক্তি সংক্রান্ত শাখা । এই CPU ছাড়াও কম্পিউটারে আরও বিভিন্ন অংশ একটি বিশেষ ভাবে প্রস্তুত বাক্সের মধ্যে রাখা থাকে তাকে বলা হয় ক্যাবিনেট । কি বাের্ড এবং মাউস এই ক্যাবিনেট - এর সঙ্গেই তারের মাধ্যমে যুক্ত থাকে । অর্থাৎ , কি বাের্ড বা মাউসের মাধ্যমে যে কাজ করা হয় , তার ফলাফল সি পি ইউ হয়ে কম্পিউটারের পর্দায় আমরা দেখতে পাই । আমরা জানি , কম্পিউটার চলে বিদ্যুতে । ক্যাবিনেট এর সঙ্গেই বিদ্যুৎ সংযােগ যুক্ত থাকে । সি পি ইউ - এ পাওয়ার ( Power ) নামক একটি সুইচ আছে , যেটি টিপে কম্পিউটার চালু করতে হয় ।

   আমরা এখন সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (cpu) এর বিভিন্ন অংশ নিয়ে আলােচনা করব । ( i ) নিয়ন্ত্রণ শাখা ( কন্ট্রোল ইউনিট বা CU) : কম্পিউটার ব্যবস্থায় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় তথ্যের যােগানকে বজায় রাখে নিয়ন্ত্রণ শাখা বা কন্ট্রোল ইউনিট । বস্তুত , কন্ট্রোল ইউনিট একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের ভূমিকা পালন করে । একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে তথ্যের আদান - প্রদানকে পরিচালনা করে কন্ট্রোল ইউনিট । ( ii ) অ্যারিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিট ( ALU ) : ALUকে কম্পিউটারের গণনা শাখা বলা যেতে পারে । অঙ্ক ও যুক্তি সংক্রান্ত কাজকর্ম করে এ এল ইউ । শুধু সমস্ত রকম গণনার কাজই নয় , সেগুলির তুলনাও করা হয় এ এল ইউ - এর মাধ্যমে । এর কাজের গতি মানুষের কল্পনার বাইরে । কিন্তু প্রসেসর যদি তার মেমোরি থেকে তথ্য না পায় , তাহলে তার পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় । যেহেতু প্রসেসরের গতি বেশি , তাই সে যদি  একই রকম উচ্চগতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিন মেমোরি থেকে তথ্য আহরণ করতে পারে , তাহলেই তার পক্ষে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব । কাজেই তাকে র‍্যামের থেকে তথ্য নিতে হয় । অপরপক্ষে র‍্যামেরও কয়েকটি অসুবিধা আছে । যদিও র‍্যামের পক্ষে উচ্চগতিতে তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব , তবে র‍্যামের সঞ্চিত তথ্য কম্পিউটার বন্ধ করলে মুছে যায় ।  তাছাড়া র‍্যামের তথ্য ধারণ ক্ষমতাও সীমিত । এক্ষেত্রে হার্ড ডিস্ক অনেক তথ্য চিরন্তন ভাবে ধরে রাখতে পারলেও একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা ছাড়িয়ে দ্রুতগতিতে তথ্য সরবরাহ করতে পারে না । প্রসেসর ও হার্ড ডিস্কের সমন্বয়ে কম্পিউটারে এমন একটি ব্যবস্থা করা হয়েছে , যাতে হার্ড ডিস্কে সঞ্চিত তথ্য প্রয়ােজন অনুযায়ী র‍্যামে সঞ্চিত হয় , আর প্রসেসর দরকার মতাে র‍্যামে থেকে তথ্য যোগাড় করতে পারে ।
(iii) প্রাথমিক সংরক্ষণ শাখা ( প্রাইমারি স্টোরেজ ইউনিট ) : কম্পিউটারে যে তথ্য প্রদানকরা হয় , তা জমা থাকে তার স্মৃতি বা মেমােরিতে । কম্পিউটারের স্মৃতিশক্তি বা স্মৃতির ভাণ্ডারে তথ্য ধারণের ক্ষমতা বিপুল । বস্তুত , কম্পিউটারের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে তার স্মৃতিশক্তি বাড়ানাের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে । কম্পিউটার তার স্মৃতিতে নানাবিধ তথ্য শুধু জমিয়েই রাখে না , ব্যবহারকারীর প্রয়ােজন অনুযায়ী তা যােগানও দেয় ।
কম্পিউটারের স্মৃতিকে দু'ভাগে ভাগ করা যায় । ( ১ ) মূল স্মৃতি বা প্রাথমিক পর্যায়ে সংরক্ষিত স্মৃতি ( মেইন মেমােরি বা প্রাইমারি স্টোরেজ ) এবং ( ২ ) অনুবর্তী পর্যায়ে সংরক্ষিত স্মৃতি (সেকেন্ডারি স্টোরেজ ) । মূল স্মৃতি আবার দু'রকমের । ( ক ) শুধুমাত্র পাঠযােগ্য স্মৃতি বা রিড অনলি মেমােরি ( Read Only Memory ) বা সংক্ষেপে রম ( ROM ) এবং ( খ ) অবাধ ব্যবহারযােগ্য স্মৃতি বা র‍্যানডম আক্সেস মেমােরি ( Random Access Memory ) বা সংক্ষেপে র‍্যাম ( RAM ) ।
অনুবর্তী পর্যায়ের স্মৃতি : কম্পিউটারের অনুবর্তী পর্যায়ের স্মৃতিতে স্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায় । অর্থাৎ , এটি তথ্য সংরক্ষণর স্থায়ী মাধ্যম । এক্ষেত্রে কম্পিউটার বন্ধ করে দেওয়া হলেও তথ্য নষ্ট হয় না বা হারিয়ে যায় না । ফলে ভবিষ্যতে প্রয়ােজন হলেই তথ্য ও প্রােগ্রামকে কম্পিউটারের সাহায্যে ব্যবহার করা যায় । তথ্যকে এভাবে সংরক্ষণের জন্য নানা ধরনের উপকরণ আছে , যেগুলিকে বলা হয় সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস । যেমন , ফ্লপি ডিস্ক , হার্ড ডিস্ক , কমপ্যাক্ট ডিস্ক বা সি ডি , ম্যাগনেটিক টেপ ইত্যাদি ।

আউটপুট ডিভাইস:
 ব্যবহারকারীর নির্দেশ মতাে কাজ করার পরে কম্পিউটার যখন তার ফলাফল জানায় , তখন যে যন্ত্রাংশগুলির মাধ্যমে ব্যবহারকারী তা জানতে পারেন , সেগুলিই আউটপুট ডিভাইস । যেমন , মনিটর , প্রিন্টার এবং প্লটার ।

Monday, 25 May 2020

Generation of Computer in Bengali | কম্পিউটারের প্রজন্ম

কম্পিউটারের প্রজন্ম (Generation of computer)

 কম্পিউটার সংক্রান্ত আলােচনায় 'প্রজন্ম' বলতে প্রযুক্তিগত ধাপকে বােঝায় । অর্থাৎ , কম্পিউটারের প্রজন্মের ধারাকে বিশ্লেষণ করা হলে কম্পিউটার নামক যন্ত্রের বিকাশের পর্যায়গুলিকে জানা যাবে । প্রকৃতপক্ষে , বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কম্পিউটারের বিকাশ ঘটে ।

Computer generation
Computer generation

প্রথম প্রজন্ম (First generation 1942 - 1955 ) : 1942 থেকে 1955 সালের মধ্যে যেসব কম্পিউটার তৈরি হয়েছে , সেগুলিকে বলা হয় প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার । ঐ সব কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামাের মূল বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ছিল ভ্যাকুয়াম টিউব । প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতীক হিসাবে এই সব কম্পিউটারের নানা সুবিধা থাকলেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এগুলির কিছু অসুবিধাও ছিল ।প্রথমত , এইসব কম্পিউটার ছিল আকারে বিরাট বড় । দ্বিতীয়ত , তাপ নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এগুলিকে ব্যবহার করা যেত না । তৃতীয়ত , প্রায়ই এসব ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ত ।  যেমন , ভ্যাকুয়াম টিউব প্রায়ই খারাপ বা নষ্ট হয়ে যেত । তখন তা বদলানাে ছাড়া উপায় থাকত না । পঞ্চমত , এগুলি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার উপযােগী ছিল না ।

দ্বিতীয় প্রজন্ম ( Second generation 1955 - 1964) : দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে স্বভাবতই আরও উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয় । উন্নততর প্রযুক্তির মাধ্যমে এই পর্যায়ের কম্পিউটারে মূল বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ হিসাবে ভ্যাকুয়াম টিউবের বদলে ট্রানজিস্টর লাগানাে হয় । এই কম্পিউটারগুলির বিভিন্ন যন্ত্রাংশও ছিল আকারে তুলনামূলকভাবে ছােট । এখন দেখা যাক , দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে কী কী সুবিধা ছিল । প্রথমত , এগুলি আকারে ছিল ছােট । দ্বিতীয়ত , চালু অবস্থায় এগুলি থেকে কম তাপ উৎপন্ন হতাে । তৃতীয়ত , এই কম্পিউটারগুলি তথ্য বিন্যাসের কাজ দ্রুত করতে পারত । চতুর্থত , এগুলি কম বিকল হতাে ।
তবে দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারেও বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করা গিয়েছিল । প্রথমত , এগুলি ব্যবহারের জন্য তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দরকার হত । দ্বিতীয়ত , এগুলি রক্ষণাবেক্ষণে অল্প সময়ের ব্যবধানে বারবার প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ নিতে হতাে । তৃতীয়ত , এগুলির বাণিজ্যিক উৎপাদন পদ্ধতি ছিল বেশ জটিল এবং ব্যয়বহুল ।

 তৃতীয় প্রজন্ম ( Third generation 1964 - 1972 ) : বিবর্তনের পথ ধরেই গবেষণার মধ্য দিয়ে আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়ােগ ঘটলাে তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে । দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটাৱে ব্যবহার করা হয়েছিল ট্রানজিস্টর । তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে তার জায়গা নিলাে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ( আই সি ) , যা সাধারণত সিলিকনের একটি মাত্র টুকরের উপরে তৈরি অতি ক্ষুদ্র স্থানে সীমাবদ্ধ বিদ্যুৎ সঞ্চালন চক্র । যে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আই সি - র এই ব্যবহার , তার নাম  লার্জ স্কেল ইন্টিগেশন ( এল এস আই ) টেকনােলজি । দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে অসুবিধার মাত্রা খুবই কমে আসে , সুবিধা বেড়ে যায় অনেকটাই । প্রথমত , তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলি ছিল আকারে ছােট । দ্বিতীয়ত , এগুলি ব্যবহারের সময় কম তাপ উৎপন্ন হতাে । তৃতীয়ত , এগুলি তথ্য বিন্যাসের কাজ দ্রুত করতে পারত । চতুর্থত , এগুলি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ ছিল কম । পঞ্চমত , এই কম্পিউটারগুলি ছিল বহনযােগ্য । অর্থাৎ , সহজেই এগুলিকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেত । যষ্ঠত , এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়ােজন হতাে । সপ্তমত , এগুলির বাণিজ্যিক উৎপাদন ছিল তুলনামূলকভাবে সহজ এবং এর খরচ ছিল কম।

 চতুর্থ প্রজন্ম ( Fourth generation 1972 - 1989) : তৃতীয় প্রজন্মের এল এস আই প্রযুক্তির জায়গায় চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহার করা হলাে ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন টেকনােলজি বা ভি এল এস আই প্রযুক্তি । এই প্রযুক্তির ভিত্তিতে কম্পিউটারে বসানাে হলাে মাইক্রোপ্রসেসর । স্বভাবতই এর ব্যবহারিক সুবিধা বেড়ে গেল অনেক গুণ । প্রথমত , এই কম্পিউটারের উৎপাদন ব্যয় অনেকটা কমে এলাে । দ্বিতীয়ত , এগুলি তথ্য বিন্যাসের ভূমিকা পালনের প্রশ্নে খুবই দ্রুতগতি সম্পন্ন । তৃতীয়ত , এগুলির স্মৃতিভাণ্ডার খুবই বড় । অর্থাৎ , এই কম্পিউটারগুলি তাদের স্মৃতি বা মেমােরিতে একসঙ্গে বিশাল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে বা ধরে রাখতে পারে । চতুর্থত , এগুলি আকারে বেশ ছােট । পঞ্চমত , এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎ লাগে ।

পঞ্চম প্রজন্ম (Fifth generation 1989 থেকে তার পরবর্তী সময়): চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহার করা ULSI (Ultra Large Scale Integration) এই প্রযুক্তির ভিত্তিতে কম্পিউটারে বসানাে হলাে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ। এই প্রজন্মের কম্পিউটারে প্যারালাল প্রসেসিং হার্ডওয়ার এবং AI(আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট) প্রথম ব্যবহার করা হয়। স্বভাবতই এর ব্যবহারিক সুবিধা বেড়ে গেল অনেক গুণ । প্রথমত , এই কম্পিউটারের উৎপাদন ব্যয় কমে এলাে । দ্বিতীয়ত , এগুলি তথ্য বিন্যাসের ভূমিকা পালনের প্রশ্নে খুবই দ্রুতগতি সম্পন্ন । তৃতীয়ত , এগুলির স্মৃতিভাণ্ডার খুবই বড় । অর্থাৎ , এই কম্পিউটারগুলি তাদের স্মৃতি বা মেমােরিতে একসঙ্গে বিশাল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে বা ধরে রাখতে পারে । চতুর্থত , এগুলি আকারে বেশ ছােট । পঞ্চমত , এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎ লাগে ।