কম্পিউটারের প্রজন্ম (Generation of computer)
কম্পিউটার সংক্রান্ত আলােচনায় 'প্রজন্ম' বলতে প্রযুক্তিগত ধাপকে বােঝায় । অর্থাৎ , কম্পিউটারের প্রজন্মের ধারাকে বিশ্লেষণ করা হলে কম্পিউটার নামক যন্ত্রের বিকাশের পর্যায়গুলিকে জানা যাবে । প্রকৃতপক্ষে , বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কম্পিউটারের বিকাশ ঘটে ।
প্রথম প্রজন্ম (First generation 1942 - 1955 ) : 1942 থেকে 1955 সালের মধ্যে যেসব কম্পিউটার তৈরি হয়েছে , সেগুলিকে বলা হয় প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার । ঐ সব কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামাের মূল বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ছিল ভ্যাকুয়াম টিউব । প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতীক হিসাবে এই সব কম্পিউটারের নানা সুবিধা থাকলেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এগুলির কিছু অসুবিধাও ছিল ।প্রথমত , এইসব কম্পিউটার ছিল আকারে বিরাট বড় । দ্বিতীয়ত , তাপ নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এগুলিকে ব্যবহার করা যেত না । তৃতীয়ত , প্রায়ই এসব ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ত । যেমন , ভ্যাকুয়াম টিউব প্রায়ই খারাপ বা নষ্ট হয়ে যেত । তখন তা বদলানাে ছাড়া উপায় থাকত না । পঞ্চমত , এগুলি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার উপযােগী ছিল না ।
দ্বিতীয় প্রজন্ম ( Second generation 1955 - 1964) : দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে স্বভাবতই আরও উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয় । উন্নততর প্রযুক্তির মাধ্যমে এই পর্যায়ের কম্পিউটারে মূল বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ হিসাবে ভ্যাকুয়াম টিউবের বদলে ট্রানজিস্টর লাগানাে হয় । এই কম্পিউটারগুলির বিভিন্ন যন্ত্রাংশও ছিল আকারে তুলনামূলকভাবে ছােট । এখন দেখা যাক , দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে কী কী সুবিধা ছিল । প্রথমত , এগুলি আকারে ছিল ছােট । দ্বিতীয়ত , চালু অবস্থায় এগুলি থেকে কম তাপ উৎপন্ন হতাে । তৃতীয়ত , এই কম্পিউটারগুলি তথ্য বিন্যাসের কাজ দ্রুত করতে পারত । চতুর্থত , এগুলি কম বিকল হতাে ।
তবে দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারেও বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করা গিয়েছিল । প্রথমত , এগুলি ব্যবহারের জন্য তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দরকার হত । দ্বিতীয়ত , এগুলি রক্ষণাবেক্ষণে অল্প সময়ের ব্যবধানে বারবার প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ নিতে হতাে । তৃতীয়ত , এগুলির বাণিজ্যিক উৎপাদন পদ্ধতি ছিল বেশ জটিল এবং ব্যয়বহুল ।
তৃতীয় প্রজন্ম ( Third generation 1964 - 1972 ) : বিবর্তনের পথ ধরেই গবেষণার মধ্য দিয়ে আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়ােগ ঘটলাে তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে । দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটাৱে ব্যবহার করা হয়েছিল ট্রানজিস্টর । তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে তার জায়গা নিলাে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ( আই সি ) , যা সাধারণত সিলিকনের একটি মাত্র টুকরের উপরে তৈরি অতি ক্ষুদ্র স্থানে সীমাবদ্ধ বিদ্যুৎ সঞ্চালন চক্র । যে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আই সি - র এই ব্যবহার , তার নাম লার্জ স্কেল ইন্টিগেশন ( এল এস আই ) টেকনােলজি । দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে অসুবিধার মাত্রা খুবই কমে আসে , সুবিধা বেড়ে যায় অনেকটাই । প্রথমত , তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলি ছিল আকারে ছােট । দ্বিতীয়ত , এগুলি ব্যবহারের সময় কম তাপ উৎপন্ন হতাে । তৃতীয়ত , এগুলি তথ্য বিন্যাসের কাজ দ্রুত করতে পারত । চতুর্থত , এগুলি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ ছিল কম । পঞ্চমত , এই কম্পিউটারগুলি ছিল বহনযােগ্য । অর্থাৎ , সহজেই এগুলিকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেত । যষ্ঠত , এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়ােজন হতাে । সপ্তমত , এগুলির বাণিজ্যিক উৎপাদন ছিল তুলনামূলকভাবে সহজ এবং এর খরচ ছিল কম।
চতুর্থ প্রজন্ম ( Fourth generation 1972 - 1989) : তৃতীয় প্রজন্মের এল এস আই প্রযুক্তির জায়গায় চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহার করা হলাে ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন টেকনােলজি বা ভি এল এস আই প্রযুক্তি । এই প্রযুক্তির ভিত্তিতে কম্পিউটারে বসানাে হলাে মাইক্রোপ্রসেসর । স্বভাবতই এর ব্যবহারিক সুবিধা বেড়ে গেল অনেক গুণ । প্রথমত , এই কম্পিউটারের উৎপাদন ব্যয় অনেকটা কমে এলাে । দ্বিতীয়ত , এগুলি তথ্য বিন্যাসের ভূমিকা পালনের প্রশ্নে খুবই দ্রুতগতি সম্পন্ন । তৃতীয়ত , এগুলির স্মৃতিভাণ্ডার খুবই বড় । অর্থাৎ , এই কম্পিউটারগুলি তাদের স্মৃতি বা মেমােরিতে একসঙ্গে বিশাল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে বা ধরে রাখতে পারে । চতুর্থত , এগুলি আকারে বেশ ছােট । পঞ্চমত , এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎ লাগে ।
পঞ্চম প্রজন্ম (Fifth generation 1989 থেকে তার পরবর্তী সময়): চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহার করা ULSI (Ultra Large Scale Integration) এই প্রযুক্তির ভিত্তিতে কম্পিউটারে বসানাে হলাে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ। এই প্রজন্মের কম্পিউটারে প্যারালাল প্রসেসিং হার্ডওয়ার এবং AI(আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট) প্রথম ব্যবহার করা হয়। স্বভাবতই এর ব্যবহারিক সুবিধা বেড়ে গেল অনেক গুণ । প্রথমত , এই কম্পিউটারের উৎপাদন ব্যয় কমে এলাে । দ্বিতীয়ত , এগুলি তথ্য বিন্যাসের ভূমিকা পালনের প্রশ্নে খুবই দ্রুতগতি সম্পন্ন । তৃতীয়ত , এগুলির স্মৃতিভাণ্ডার খুবই বড় । অর্থাৎ , এই কম্পিউটারগুলি তাদের স্মৃতি বা মেমােরিতে একসঙ্গে বিশাল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে বা ধরে রাখতে পারে । চতুর্থত , এগুলি আকারে বেশ ছােট । পঞ্চমত , এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎ লাগে ।
কম্পিউটার সংক্রান্ত আলােচনায় 'প্রজন্ম' বলতে প্রযুক্তিগত ধাপকে বােঝায় । অর্থাৎ , কম্পিউটারের প্রজন্মের ধারাকে বিশ্লেষণ করা হলে কম্পিউটার নামক যন্ত্রের বিকাশের পর্যায়গুলিকে জানা যাবে । প্রকৃতপক্ষে , বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কম্পিউটারের বিকাশ ঘটে ।
Computer generation |
প্রথম প্রজন্ম (First generation 1942 - 1955 ) : 1942 থেকে 1955 সালের মধ্যে যেসব কম্পিউটার তৈরি হয়েছে , সেগুলিকে বলা হয় প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার । ঐ সব কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামাের মূল বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ছিল ভ্যাকুয়াম টিউব । প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতীক হিসাবে এই সব কম্পিউটারের নানা সুবিধা থাকলেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এগুলির কিছু অসুবিধাও ছিল ।প্রথমত , এইসব কম্পিউটার ছিল আকারে বিরাট বড় । দ্বিতীয়ত , তাপ নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এগুলিকে ব্যবহার করা যেত না । তৃতীয়ত , প্রায়ই এসব ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ত । যেমন , ভ্যাকুয়াম টিউব প্রায়ই খারাপ বা নষ্ট হয়ে যেত । তখন তা বদলানাে ছাড়া উপায় থাকত না । পঞ্চমত , এগুলি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার উপযােগী ছিল না ।
দ্বিতীয় প্রজন্ম ( Second generation 1955 - 1964) : দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে স্বভাবতই আরও উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয় । উন্নততর প্রযুক্তির মাধ্যমে এই পর্যায়ের কম্পিউটারে মূল বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ হিসাবে ভ্যাকুয়াম টিউবের বদলে ট্রানজিস্টর লাগানাে হয় । এই কম্পিউটারগুলির বিভিন্ন যন্ত্রাংশও ছিল আকারে তুলনামূলকভাবে ছােট । এখন দেখা যাক , দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে কী কী সুবিধা ছিল । প্রথমত , এগুলি আকারে ছিল ছােট । দ্বিতীয়ত , চালু অবস্থায় এগুলি থেকে কম তাপ উৎপন্ন হতাে । তৃতীয়ত , এই কম্পিউটারগুলি তথ্য বিন্যাসের কাজ দ্রুত করতে পারত । চতুর্থত , এগুলি কম বিকল হতাে ।
তবে দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারেও বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করা গিয়েছিল । প্রথমত , এগুলি ব্যবহারের জন্য তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দরকার হত । দ্বিতীয়ত , এগুলি রক্ষণাবেক্ষণে অল্প সময়ের ব্যবধানে বারবার প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ নিতে হতাে । তৃতীয়ত , এগুলির বাণিজ্যিক উৎপাদন পদ্ধতি ছিল বেশ জটিল এবং ব্যয়বহুল ।
তৃতীয় প্রজন্ম ( Third generation 1964 - 1972 ) : বিবর্তনের পথ ধরেই গবেষণার মধ্য দিয়ে আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়ােগ ঘটলাে তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে । দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটাৱে ব্যবহার করা হয়েছিল ট্রানজিস্টর । তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে তার জায়গা নিলাে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ( আই সি ) , যা সাধারণত সিলিকনের একটি মাত্র টুকরের উপরে তৈরি অতি ক্ষুদ্র স্থানে সীমাবদ্ধ বিদ্যুৎ সঞ্চালন চক্র । যে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আই সি - র এই ব্যবহার , তার নাম লার্জ স্কেল ইন্টিগেশন ( এল এস আই ) টেকনােলজি । দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে অসুবিধার মাত্রা খুবই কমে আসে , সুবিধা বেড়ে যায় অনেকটাই । প্রথমত , তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলি ছিল আকারে ছােট । দ্বিতীয়ত , এগুলি ব্যবহারের সময় কম তাপ উৎপন্ন হতাে । তৃতীয়ত , এগুলি তথ্য বিন্যাসের কাজ দ্রুত করতে পারত । চতুর্থত , এগুলি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ ছিল কম । পঞ্চমত , এই কম্পিউটারগুলি ছিল বহনযােগ্য । অর্থাৎ , সহজেই এগুলিকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেত । যষ্ঠত , এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়ােজন হতাে । সপ্তমত , এগুলির বাণিজ্যিক উৎপাদন ছিল তুলনামূলকভাবে সহজ এবং এর খরচ ছিল কম।
চতুর্থ প্রজন্ম ( Fourth generation 1972 - 1989) : তৃতীয় প্রজন্মের এল এস আই প্রযুক্তির জায়গায় চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহার করা হলাে ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন টেকনােলজি বা ভি এল এস আই প্রযুক্তি । এই প্রযুক্তির ভিত্তিতে কম্পিউটারে বসানাে হলাে মাইক্রোপ্রসেসর । স্বভাবতই এর ব্যবহারিক সুবিধা বেড়ে গেল অনেক গুণ । প্রথমত , এই কম্পিউটারের উৎপাদন ব্যয় অনেকটা কমে এলাে । দ্বিতীয়ত , এগুলি তথ্য বিন্যাসের ভূমিকা পালনের প্রশ্নে খুবই দ্রুতগতি সম্পন্ন । তৃতীয়ত , এগুলির স্মৃতিভাণ্ডার খুবই বড় । অর্থাৎ , এই কম্পিউটারগুলি তাদের স্মৃতি বা মেমােরিতে একসঙ্গে বিশাল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে বা ধরে রাখতে পারে । চতুর্থত , এগুলি আকারে বেশ ছােট । পঞ্চমত , এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎ লাগে ।
পঞ্চম প্রজন্ম (Fifth generation 1989 থেকে তার পরবর্তী সময়): চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহার করা ULSI (Ultra Large Scale Integration) এই প্রযুক্তির ভিত্তিতে কম্পিউটারে বসানাে হলাে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ। এই প্রজন্মের কম্পিউটারে প্যারালাল প্রসেসিং হার্ডওয়ার এবং AI(আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট) প্রথম ব্যবহার করা হয়। স্বভাবতই এর ব্যবহারিক সুবিধা বেড়ে গেল অনেক গুণ । প্রথমত , এই কম্পিউটারের উৎপাদন ব্যয় কমে এলাে । দ্বিতীয়ত , এগুলি তথ্য বিন্যাসের ভূমিকা পালনের প্রশ্নে খুবই দ্রুতগতি সম্পন্ন । তৃতীয়ত , এগুলির স্মৃতিভাণ্ডার খুবই বড় । অর্থাৎ , এই কম্পিউটারগুলি তাদের স্মৃতি বা মেমােরিতে একসঙ্গে বিশাল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে বা ধরে রাখতে পারে । চতুর্থত , এগুলি আকারে বেশ ছােট । পঞ্চমত , এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎ লাগে ।
Woow it's really great, khub vlo kore describe kora Hoye6e computer এর generation gulo...
ReplyDeleteThankyou
DeleteThanks
DeleteReally khub valo laglo.
ReplyDeletewe need more explain about this this is not enough for us
ReplyDelete