Saturday, 13 June 2020

What is software ? How many types ? | সফটওয়্যার কী ? কত প্রকার ?

What is software ( সফটওয়্যার কি ):


কম্পিউটার নিজের থেকে কোনও কাজ করতে পারে না। সে এক একটি নির্দিষ্ট কার্যক্রম অনুসরন করে কোনও কাজ সম্পন্ন করে এবং ফলাফল জানিয়ে দেয় । নির্দিষ্ট ক্রমে কী কী কাজ করতে হবে , তা কম্পিউটারকে জানাতে হয় তারই কোনও ভাষা ব্যবহার করে । এই নির্দেশাবলী বা কার্যক্রমকে আমরা কম্পিউটারের পরিভাষায় বলি 'প্রােগ্রাম' । প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা প্রােগ্রাম থাকে । বিভিন্ন প্রােগ্রামের সুনির্দিষ্ট সমন্বয়কেই সফটওয়্যার বলে । সফ্টওয়্যার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে । আজকাল ব্যবহারের সুবিধার জন্য কিছু কিছু সফ্টওয়্যার প্রস্তুতকারীরা লিখে দেন । যেমন , MS Paint, MS Word ।

  • কম্পিউটার সফটওয়্যার প্রধানত 3 প্রকার । যথাঃ
  1. সিস্টেম সফটওয়্যার 
  2. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার 
  3. ইউটিলিটি সফটওয়্যার

What is software


সিস্টেম সফটওয়্যার : কম্পিউটার ব্যবস্থা ও তার বিভিন্ন উপকরণকে অর্থাৎ ডিস্ক ড্রাইভ , সি পি ইউ , স্মৃতি বা মেমােরিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয় , তাকে সিস্টেম সফ্টওয়্যার বলে । যেমন , উইন্ডােজ 7 ( Windows 7 ) নামক অপারেটিং সিস্টেম ।পরিচালন ব্যবস্থা বা অপারেটিং সিস্টেম হলাে একটি বিশেষ সিস্টেম সফটওয়্যার । কম্পিউটারের সমস্ত উপকরণ ও কাজকর্মকে পরিচালনা করতে এটিকে ব্যবহার করা হয় । প্রচলিত অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে উইন্ডােজ , এম এস ডস , ইউনিক্স , লিনাক্স । অপারেটিং সিস্টেম আরও বহু কাজ করে থাকে । উদাহরণ হিসাবে বলা যায় , কোনও কাজ করার সময় কম্পিউটারের বিভিন্ন যান্ত্রিকব্যবস্থা যেমন স্মৃতি , প্রসেসর ইত্যাদির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে ।


অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার : কোনও নির্দিষ্ট কাজের জন্য অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারকে ব্যবহার করা হয় । প্রকৃতপক্ষে এই ধরনের সফ্টওয়্যার কোনও কম্পিউটারকে একটি কাজের যন্ত্রে পরিণত করে । যেমন , ছবি আঁকার কাজে এম এস পেইন্ট ( MS Paint ) , চিঠি বা নথি তৈরির কাজে এম এস ওয়ার্ড ( MS Word ) ইত্যাদি ।

ইউটিলিটি সফটওয়্যার : ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার হলো সিস্টেম সফটওয়্যারের অংশ। কিছু সাধারণ কাজ , যেমন প্রতিলিপি তৈরী বা কোনও তথ্য সংবলিত ফাইল মুছে ফেলার কাজ দ্রুত ও সহজে করে ফেলতে ব্যবহারকারীকে সাহায্য করে ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার। 

Thursday, 4 June 2020

Classification of computers | কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ

কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ ( Classification of computers ) : তথ্য বিন্যাসের পদ্ধতির ভিত্তিতে কম্পিউটারকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় । এগুলি হলাে , ( 1 ) অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer), (2 ) ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer), ( 3 ) হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer)। কম্পিউটারকে আবার তার আকার ও ক্ষমতার ভিত্তিতে চার ভাগে ভাগ করা যায় - (1 ) সুপার কম্পিউটার (Super computer), ( ২ ) মেইন ফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe computer), ( 3 ) মিনি কম্পিউটার (Mini computer), ( 4 ) মাইক্রো কম্পিউটার (Micro computer)।

Classification of computers
Classification of computers

  • তথ্য বিন্যাসের পদ্ধতির ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ

1 ) অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer): যে সকল কম্পিউটার একটি মাত্র ইনপুট ও আউটপুট নিয়ে কাজ করে সেই সকল কম্পিউটারকে অ্যানালগ কম্পিউটার বলে। এই কম্পিউটার এমন এক কম্পিউটার যা সমস্যার সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ, চাপ, তাপ ব্যবহার করে থাকে। যেমন- WATTMETER, SPEEDOMETER

2 ) ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer):  ডিজিটাল কম্পিউটার এমন এক কম্পিউটার যা কোনো তথ্য কে গাণিতিক ও যুক্তির মাধ্যমে গণনা করে থাকে। ডিজিটাল কম্পিউটার কেবল মাত্র '0' এবং '1' নম্বর এর সাহায্য সকল গণনা সম্পন্ন করে থাকে। যেমন- CALCULATOR, MOBILE, PC

3 ) হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer): হাইব্রিড কম্পিউটার হলো অ্যানালগ কম্পিউটার এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের মিশ্রিত রূপ। অর্থাৎ, এই কম্পিউটার অ্যানালগ তথ্য ইনপুট হিসাবে গ্রহণ করে এবং ডিজিটাল তথ্য আউটপুট হিসাবে প্রদান করে। যেমন- ECG MECHINE


  • আকার ও ক্ষমতার ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ

1) সুপার কম্পিউটার (Super computers) :  ব্যবহারের চাহিদা অনুযায়ী এই কম্পিউটারকে তৈরি করা হয়। অর্থাৎ, কোন কাজে কম্পিউটারটি ব্যবহার করা হবে সেই কাজের চাহিদা পূরণ করার জন্য উপযোগী কম্পিউটার। এই কম্পিউটার সবথেকে উচ্চগতিতে কাজ সম্পর্ন করতে সক্ষম। এই কম্পিউটার আকারে অনেক বড় হয় এবং অনেক কাজ এক সাথে করতে সক্ষম। এই কম্পিউটার WHEATHER FORCASTING, SPACE SHIP, SATTELITE LAUNCHING এর কাজে ব্যবহার করা হয়। এই কম্পিউটার উদাহরণ হলো 'PARAM-100' , 'CRAY-XMP-14'

2) মেইন ফ্রেম (Mainframe computer) : এই কম্পিউটার গুলি আকার অনেক বড় ও প্রচুর ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। এই কম্পিউটার গুলিতে অনেক ব্যবহারকরি একসাথে কাজ করতে পারে। এই কম্পিউটার AIR TICKET BOOKING, RAILWAY TICKET BOOKING এর কাজে ব্যবহার করা হয়।

3) মিনি কম্পিউটার(Mini computer) : এই কম্পিউটারের কার্য ক্ষমতা 
মেইন ফ্রেম কম্পিউটারের থেকে কম। এই কম্পিউটারে একাধিক ব্যবহারকরি এক সাথে কাজ করতে পারে। এই কম্পিউটার RESEARCH এর কাজে ব্যবহার করা হয়।

4) মাইক্রো কম্পিউটার(Micro computer) : সাধারণত বিভিন্ন অফিসে , স্কুল , কলেজে ও বাড়িতে আমরা যে কম্পিউটারগুলি দেখি , তাকে বলে মাইক্রো কম্পিউটার । এগুলি একটি প্রধান মাইক্রোপ্রসেসরের অধীনে সমস্ত কাজ করে থাকে । এই কম্পিউটারের উদাহরণ হলো LAPTOP,  DESKTOP